আপনার নাম এবং ই-মেইল এ্যাড্রেস দেয়া বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু এই তথ্যগুলো দিলে আমরা করোনা পরিস্থিতি অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এবং অগ্রগতির ব্যাপারে আপনাকে জানাতে পারবো।
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, COVID-19 বা করোনা ভাইরাস সকল জলবায়ুতে, সব ধরণের তাপমাত্রায়, সর্বত্র ছড়াতে পারে। জলবায়ু এবং আবহাওয়া নির্বিশেষে যে যেখানেই থাকি, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে কিংবা সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে - এমন কোথাও বসবাস করলে বা যেতে হলে আমাদের সকলের উচিত নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
[source]
নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে যেসকল ভ্যাক্সিন দেয়া হয়ে থাকে - যেমন নিউমোকক্কাল ভ্যাক্সিন এবং হেমোফিলিয়াস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ ‘বি’ ভ্যাক্সিন - সেগুলো এই করোনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে অকার্যকর। ভাইরাসটি এতটাই নতুন এবং ভিন্ন ধরণের যে এর জন্য নতুন ভ্যাক্সিন তৈরী করা প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী অসংখ্য গবেষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই করোনা ভাইরাস এর ভ্যাক্সিন আবিষ্কার এর কাজ চলছে।
[source]
সকল বয়সের মানুষই এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হতে পারে। যাদের বয়স কম, তাদের রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কম, কিন্তু তারা ঠিকই অন্যদের মাঝে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার বাহন হিসাবে কাজ করতে পারে।
[source]
এ্যান্টিবায়োটিক কোনও ভাইরাস এর উপরই কাজ করে না। এ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে অন্য এক ধরণের জীবাণুর উপর, যাকে আমরা চিনি ব্যাক্টেরিয়া হিসাবে।
[source]
থানকুনি পাতা খাওয়ার সাথে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধের কোনো সম্পর্ক নেই।
[source]
যদি কেউ রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকে কিংবা নিজে অসুস্থ থাকে এবং হাঁচি কাশি দিতে থাকে, তাহলে তার মাস্ক পরে থাকা অপরিহার্য। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে মাস্ক পরে থাকায় কোনও ক্ষতি নেই। যদি কেউ মাস্ক পরে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সেটা সঠিক উপায়ে পরা উচিত।
[source]
বর্তমানে শুধু রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (IEDCR) এর তত্ত্বাবধানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা করা হয়। অন্য কোনও স্বাস্থ্য সংস্থা, হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে এই পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। IEDCR এর সাথে যোগাযোগ করতে সূত্রে উল্লিখিত হটলাইনে ফোন করুন।
[source]
বিশ্বের কোনো স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে এধরণের কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। এটা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার কোনো স্বীকৃত পদ্ধতি নয়।
[source]
করোনা ভাইরাস আমাদের ফুসফুসজাত তরল যেমন হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে এবং সংক্রমণ করে থাকে, রক্তের মাধ্যমে নয়। ফলে, মশার কামড়ের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কিন্তু মশার কামড়ের মাধ্যমে অন্যান্য গুরুতর রোগের সংক্রমণ হয়ে থাকে, যেমন - ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি।
[source]
গবেষণাগারে চালানো নানা পরীক্ষা থেকে সন্দেহাতীতভাবে জানা গিয়েছে যে ৬০% ইথানল এবং ৭০% আইসোপ্রোপানল এর মিশ্রণ 2019-nCOV বা নভেল করোনা ভাইরাস এবং সমগোত্রীয় ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। এই মিশ্রণটি CDC (যুক্তরাষ্ট্রের প্রধাণ রোগ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা) কর্তৃক সুপারিশ করা। যদি এই ধরণের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার সুযোগ না থাকে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাধারণ সাবান এই ভাইরাস কে নিষ্ক্রিয় করতে ঠিক একই পরিমাণ কার্যকর।
[source]
যদিও করোনা ভাইরাস কোন পৃষ্ঠতলে পড়ার পর কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত সেখানে থাকতে পারে (বিষয়টি অনেকটা পৃষ্ঠতলের উপর নির্ভরশীল), এক দেশ থেকে আরেক দেশে নিয়ে আসায় সেই পৃষ্ঠতল যে পরিমাণ নড়াচড়ার মধ্যে দিয়ে যায়, যে পরিমাণ যাত্রাপথ অতিক্রম করে আর যত ধরণের তাপমাত্রা এবং আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে যায় - তার পরও করোনা ভাইরাসটি সেই পৃষ্ঠতলে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
[source]
থার্মাল স্ক্যানার শুধু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি, অর্থাৎ যাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী, তাদের শনাক্ত করতে পারে। জ্বর ছাড়া অন্য কোন উপসর্গ শনাক্তকরণের ক্ষমতা থার্মাল স্ক্যানার এর নেই।
[source]
রসুন খাওয়ার সাথে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনার কোনও সম্পর্ক নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিরাময়ের কোনো পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয় নি।
[source]
লবণ বা ভিনেগার মিশ্রিত গরম পানি পান করা কিংবা কুলি করার সাথে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের কোনো সম্পর্ক নেই।
[source]
শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবনে সঠিক সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে, নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের গতি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। মনে রাখতে হবে - আমি যদি ১০ জন মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেই, সেই ১০ জন প্রত্যেকে পরবর্তীতে আরও ১০ জন করে মানুষের মাঝে ছড়াবে ভাইরাসটি, যার ফলাফল স্বরূপ সর্বমোট ১১০ জন সংক্রমিত হবে। এই ১১০ জন প্রত্যেকে আরও ১০ জন করে মানুষকে সংক্রমণের শিকার করবে, যার ফলে সর্বমোট ১২১০ জন সংক্রমিত হবে। এভাবে চলতেই থাকবে। সুতরাং, আমি যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রথম ১০ জনকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে পারি, তাহলে আমি সামগ্রিক ভাবে হাজার হাজার মানুষকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে পারবো।
[source]